"বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা প্রতিনিয়ত জাতীয়করণ ও ন্যায্য বেতনের প্রতিশ্রুতি পেয়ে যাচ্ছেন, যা অনেকটা চকলেটের লোভ দেখানোর মতো। কিন্তু বাস্তবায়নের অভাবে তারা আজও অধিকারহীনভাবে অপেক্ষায় আছেন।"
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের বর্তমান অবস্থা যেন দোকানে সাজিয়ে রাখা পুতুলের মতো। তারা শিক্ষার মূল চালিকা শক্তি হলেও, তাদের নিজস্ব কোনো আর্থিক নিরাপত্তা নেই। তারা কেবল নামমাত্র সম্মান এবং অপেক্ষার মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন। জাতীয়করণ এবং ন্যায্য দাবিগুলো পূরণ না হওয়ায় তারা যেন স্থিরভাবে দাঁড়িয়ে আছেন, অথচ তাদের প্রত্যাশা, শিক্ষাক্ষেত্রে সম্মান ও আর্থিক নিরাপত্তা তাদের প্রাপ্য। শিক্ষকরা পুতুল নন—তাদেরও বেঁচে থাকার জন্য প্রয়োজন যথাযথ বেতন, আর্থিক সুরক্ষা, এবং সম্মান।
শিক্ষক-কর্মচারীরা অবুঝ শিশুঃ
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থা যেন অবুঝ শিশুর মতো। তারা শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেন, কিন্তু নিজেদের অধিকারের ব্যাপারে যেন কোনো আওয়াজ তুলতে পারেন না। তাদের মনের অনেক চাহিদা আছে—ন্যায্য বেতন, আর্থিক সুরক্ষা, এবং মর্যাদা—কিন্তু তাদের কণ্ঠস্বর বারবার অবহেলিত হয়। তারা যেমন একটি শিশু তার চাহিদা বোঝাতে না পারার কারণে কষ্টে থাকে, তেমনি শিক্ষকরাও তাদের অধিকার আদায়ে যেন প্রতিনিয়ত সংগ্রাম করছেন। অবুঝ শিশুর মতো অপেক্ষায় আছেন, কখন কেউ তাদের কথাগুলো শুনবে এবং সুরক্ষা দেবে।
খেলনা পুতুল:
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের অবস্থা যেন খেলনা পুতুলের মতো। তারা নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন, অথচ তাদের কথা কেউ শোনে না, তাদের প্রয়োজনও যেন কেউ বোঝে না। তাদের পরিশ্রমের কোনো সঠিক মূল্যায়ন নেই, ঠিক যেমন পুতুলকে সাজিয়ে রাখা হয়, কিন্তু তার নিজের কোনো ইচ্ছা বা চাওয়া থাকে না। শিক্ষকদের প্রতিনিয়ত ব্যবহার করা হচ্ছে, কিন্তু তারা নিজেদের অধিকার বা প্রয়োজনের কথা বলতে পারছেন না। তারা যেন এমন এক অবস্থা নিয়ে বসে আছেন, যেখানে জাতীয়করণ এবং ন্যায্য বেতন তাদের কাছে শুধুই এক স্বপ্ন।
See More.......https://badrulbloger1.blogspot.com/2024/08/blog-post_4.html
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীর অবস্থা বাবা যেমন বাচ্চাকে চকলেটের লোভ দেখায়ঃ
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের সাথে যেন সেই বাবার মতো আচরণ করা হচ্ছে, যে তার বাচ্চাকে চকলেটের লোভ দেখিয়ে চুপ করিয়ে রাখে। সরকার ও নীতিনির্ধারকরা প্রতিবার আশ্বাস দেয়—জাতীয়করণ হবে, বেতন বাড়বে—কিন্তু বাস্তবে কিছুই হয় না। শিক্ষকদের সামনে চকলেটের মতো প্রতিশ্রুতির ঝলক দেখানো হয়, কিন্তু তা কখনোই হাতে আসে না। দিনের পর দিন, শিক্ষকরাও এই লোভে বসে থাকেন, আশায় যে হয়তো একদিন তাদের চাওয়া পূর্ণ হবে, কিন্তু বাস্তবতা সেই প্রতিশ্রুতি থেকেই যায় দূরের চকলেটের মতো অধরা।
উপসংহার:
বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীরা শিক্ষাব্যবস্থার মূল চালিকা শক্তি হলেও তাদের অধিকাংশ সময়ই অবহেলিত এবং উপেক্ষিত থাকতে হয়। প্রতিশ্রুতি আর আশ্বাসের মাধ্যমে তাদের জাতীয়করণ ও ন্যায্য বেতনের স্বপ্ন দেখানো হয়, কিন্তু বাস্তবায়নের পথে পদক্ষেপ গ্রহণ খুবই কম। তাদের অবস্থা যেন সেই খেলনা পুতুলের মতো, যাদের কথা শোনা হয় না, এবং অবুঝ শিশুর মতো তারা প্রতিনিয়ত অপেক্ষা করেন তাদের ন্যায্য অধিকার পাওয়ার জন্য। সরকারের দায়িত্ব শুধু আশ্বাসে সীমাবদ্ধ না থেকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, যাতে তারা শুধু সম্মান নয়, আর্থিক নিরাপত্তাও লাভ করতে পারেন। যদি এসব দাবি পূরণে উদ্যোগ নেওয়া না হয়, তবে শিক্ষক-কর্মচারীদের আন্দোলন ছাড়া আর কোনো বিকল্প পথ থাকবে না।
Tags
Bangla news

